Tuesday, May 1, 2018

জুম্মা মোবারক মেসেজ আজ পবিত্র জুম্মা মোবারক জুম্মা মোবারক এস এম এস পবিত্র জুম্মা মোবারক ছবি



জুম্মা মোবারক মেসেজ আজ পবিত্র জুম্মা মোবারক জুম্মা মোবারক এস এম এস পবিত্র জুম্মা মোবারক ছবি

জুমু’আর দিনের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য:  ১, এই দিনে আদম (আ:)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে।  ২, এই দিনে আল্লাহ্ তা’আলা  আদম (আ:)-কে দুনিয়াতে নামিয়ে দিয়েছেন।  ৩, এই দিনে আদম (আ:) মৃত্যুবরণ করেছেন।  ৪, এই দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, যে সময়ে হারাম ছাড়া যে কোন জিনিস প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা প্রদান করেন।  ৫, এই দিনে কিয়ামত সংঘটিত হবে। তাই আসমান, যমীন ও আল্লাহর সকল নৈকট্যশীল ফেরেশতা জুমু’আর দিনকে ভয় করে।  (ইবনে মাজাহ্, মুসনাদে আহমদ)



হযরত আবু লুবাবা ইবনে আবদুল মুনযির (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, জুমু’আর দিন সকল দিনের সরদার। আল্লাহর নিকট সকল ‍দিনের চেয়ে মর্যাদাবান। কোরবানীর দিন ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়ে বেশী মর্যাদাবান।

“পাঁচ বেলা সালাত আদায়, এক জুম’আ থেকে পরবর্তী জুম’আ, এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজানের মধ্যবর্তী সময়ে হয়ে যাওয়া সকল (সগীরা) গুনাহের কাফফারা স্বরূপ, এই শর্তে যে, বান্দা কবীরা গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবে।” (মুসলিমঃ ২৩৩)

‘যে ব্যাক্তি ভালভাবে পবিত্র হল অতঃপর মসজিদে এলো, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শুনতে চুপচাপ বসে রইল, তার জন্য দুই জুম’আর মধ্যবর্তী এ সাত দিনের সাথে আরও তিনদিন যোগ করে মোট দশ দিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। পক্ষান্তরে খুৎবার সময় যে ব্যক্তি পাথর, নুড়িকণা বা অন্য কিছু নাড়াচাড়া করল সে যেন অনর্থক কাজ করল।’ (মুসলিমঃ ৮৫৭)

“জুম’আর সালাতে তিন ধরনের লোক হাজির হয়। (ক) এক ধরনের লোক আছে যারা মসজিদে প্রবেশের পর তামাশা করে, তারা বিনিময়ে তামাশা ছাড়া কিছুই পাবে না। (খ) দ্বিতীয় আরেক ধরনের লোক আছে যারা জুম’আয় হাজির হয় সেখানে দু’আ মুনাজাত করে, ফলে আল্লাহ যাকে চান তাকে কিছু দেন আর যাকে ইচ্ছা দেন না। (গ) তৃতীয় প্রকার লোক হল যারা জুম’আয় হাজির হয়, চুপচাপ থাকে, মনোযোগ দিয়ে খুৎবা শোনে, কারও ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে আগায় না, কাউকে কষ্ট দেয় না, তার দুই জুম’আর মধ্যবর্তী ৭ দিন সহ আরও তিনদিন যোগ করে মোট দশ দিনের গুনাহ খাতা আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন।” (আবু দাউদঃ ১১১৩)


জুম্মার দিন খুৎবা শুনা ওয়াজিব। দয়া করে, খুৎবার সময় কথা বলবেন না। জুম'আর খুৎবা দুইটি, মনে রাখবেন।

জুম্মার দিন হল গরিবদের জন্য হজ্জ। এই দিনে অনন্য দিনের চেয়ে আলেদা একটা আনন্দ থাকে। কারণ, সবাই একসাথে মসজিদে সালত আদায় করি।

জুম্মার রাতে বা দিনে মৃত্যু-বরণকারী|| রাসুল (স) এরশাদ করেছেন, "যে মুসলমান জুম্মার দিন অথবা রাতে মৃত্যুবরণকরে, আল্লাহ পাক তাকে কবরের ফেতনা (কবরের আযাব) থেকে রেহাই দান করবেন।".(আহমদ ও তিরমিযী শরীফ) হে আল্লাহ ,অমাদেরকে আপনি পবিত্র জুম্মার দিন বা রাতে মৃত্যু দান কর, যেন কবরের আযাব অমাদেরকে স্পর্শকরতে না পারে-(আমীন)


হে মুমিনগন, জুমআর দিনে যখন সালাতের আজান দেয়া হয়. তখন তোমরা আল্লাহর স্বরনপানে ত্বরা কর. এবং কেনাবেচা বন্ধকর. এটা তোমাদের জন্য উত্তম. যদি তোমরা এটা বুঝ!
জুম্মা মোবারক মেসেজ আজ পবিত্র জুম্মা মোবারক জুম্মা মোবারক এস এম এস পবিত্র জুম্মা মোবারক ছবি

ஜஜ গেল রাত এল দিন, ফিরে এল জুম্মার দিন। ஜ ஜ জুম্মার সময় করবেনা লসস, জুম্মার নামাজ গরীবদের হজ্জ। ஜ ஜ জলদি যাও নামাজ পরতে, গুরুত্ত দাও এই দিনটাকে। ஜ ஜ হেপ্পী জুম্মাহ মোবারক টু মাই অল ফ্রেন্ড।ஜஜ

নতুন আশা, নতুন দিন, আজকে হল জুমার দিন। লাগছে ভাল ছাড়বো ঘর, মসজিদে যাবো ১২ টার পর। আকাশে সূর্য দিচ্ছে আলো, জুমার নামায পরতে লাগবে ভালো। সকলকে জুম্মা মোবারক।

আবূল আশআস (রহঃ) নামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি জুম্মার দিন অযু করে তা তার জন্য যথেষ্ট এবং তা উত্তম কাজ; আর যে ব্যক্তি গোসল করে তবে তা পরমোত্তম কাজ।

আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) আবূ সায়ীদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেছেনঃ প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কের জন্য জুম্মার দিন গোসল করা কর্তব্য 1।

জুম্মা মোবারক মেসেজ আজ পবিত্র জুম্মা মোবারক জুম্মা মোবারক এস এম এস পবিত্র জুম্মা মোবারক ছবি

জুমার দিনে দোয়া কবুল হওয়ার সে মহামূল্যবান সময় কোনটা? এ সম্পর্কে ৪৫টা মতামত পাওয়া যায়। তবে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ মত হলো, আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময় দোয়া কবুলের সময়। হজরত আনাস (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিনের কাঙ্ক্ষিত সময়টা হলো আসরের পর থেকে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত। (মুসনাদে ইবনে আবি শাইবা : ৫৪৬০ , তিরমিজি : ৪৮৯)

জুমাবারের ফজিলতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিকটি হলো, এই দিনে এমন একটা সময় আছে, যখন মুমিন বান্দা কোনো দোয়া করলে মহান আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিনে একটা এমন সময় আছে, যে সময়ে কোনো মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে ভালো কোনো কিছু প্রার্থনা করলে, অবশ্যই আল্লাহ তাঁকে তা দান করবেন। (সহীহ মুসলিম : ৮৫২, মুসনাদে আহমাদ : ৭১৫১, আস্-সুনানুল কুবরা : ১০২৩৪)

হজরত সালমান (রা.) হতে একটি হাদিস বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুন্দর করে গোসল করবে, অতঃপর তেল ব্যবহার করবে এবং সুগন্ধি নেবে, তার পর মসজিদে গমন করবে, দুই মুসল্লির মাঝে জোর করে জায়গা নেবে না, সে নামাজ আদায় করবে এবং ইমাম যখন খুতবা দেবেন, চুপ করে মনোযোগসহকারে তাঁর খুতবা শুনবে। দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ে তার সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (মুসনাদে আবু দাউদ : ৪৭৯)

যে সবার আগে মসজিদে প্রবেশ করে, সে একটি উট আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়াব লাভ করে। যে দুই নম্বরে প্রবেশ করে, সে একটি গরু আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়াব পায়। যে তিন নম্বরে প্রবেশ করে, সে একটি দুম্বা দান করার সওয়াব পায়। যে চার নম্বরে প্রবেশ করে, সে একটি মুরগি দান করার সওয়াব লাভ করে। আর যে পাঁচ নম্বরে প্রবেশ করে, সে একটি ডিম আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়াব পায়। (মুসনাদে শাফী : ৬২, জামে লি ইবনে ওহাব : ২২৯, মুসনাদে হুমাইদি : ৯৬৩ )

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে এ মর্মে হাদিস বর্ণিত হয়েছে যে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো শরিয়তসম্মত কারণ ছাড়া জুমার নামাজ বর্জন করবে, তার নাম মুনাফিক হিসেবে এমন দপ্তরে লিপিবদ্ধ হবে, যা মুছে ফেলা হবে না এবং পরিবর্তন ও করা যাবে না। (তাফসিরে মাজহারি ,খণ্ড : ৯ , পৃষ্ঠা : ২৮৩)

জুম্মা মোবারক মেসেজ আজ পবিত্র জুম্মা মোবারক জুম্মা মোবারক এস এম এস পবিত্র জুম্মা মোবারক ছবি

জুমার নামাজ ফরজ হয় প্রথম হিজরিতে। রাসূলুল্লাহ (সা.) হিজরতকালে কুবাতে অবস্থান শেষে শুক্রবার দিনে মদিনা পৌঁছেন এবং বনি সালেম গোত্রের উপত্যকায় পৌঁছে জোহরের ওয়াক্ত হলে সেখানেই তিনি জুমার নামাজ আদায় করেন। এটাই ইতিহাসের প্রথম জুমার নামাজ।

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি জুমুয়ার দিন সূরা কাহফ পড়বে তার দুই জুমুয়ার মধ্যবর্তী সমগ্র সময় জুড়ে তার ওপর আল্লাহর জ্যোতি বর্ষিত হতে থাকবে”। [নাসায়ী, বাইহাকী]

Load comments