রোজার নিয়ত, সেহরি ও ইফতারের দোয়া আরবি বাংলা উচ্চারণ অর্থ সহ
রমজান মাসের ফজিলত অনেকগুলো, কিছু মৌলিক ফজিলত হলো:
1. **ইবাদতের ফলে মাগফিরাত**: রমজানে মুসলিমরা সকালের প্রথম ফজর নামাজ পর্যন্ত রোজা রাখে এবং তারা নামাজ, তিলাওয়াত এবং দুয়া পড়ে। এই ইবাদতের ফলে তারা অনেক মাগফিরাত পেয়ে যায়।
2. **তাকওয়া এবং তাব্বার বৃদ্ধি**: রমজান মাসে মুসলিমরা তাকওয়া (তাব্বার) এবং সেলফ-রেফ্লেকশনের সুযোগ পায়। তারা নিজের দ্বীনী জীবনের অবস্থা পর্যালোচনা করে এবং নিজের মিথ্যাচার সংশোধন করে।
3. **আমলের উপর ভালো প্রভাব**: রমজান মাসে মুসলিমরা ধার্মিক আমলে বেশি লাগে। এ মাসে কোনো ধরনের মন্দ কাজ করা থেকে বিরত থাকা বা শুভ কাজ করা বেশি উপকারী হতে পারে।
4. **সাবর এবং ইহসানের বৃদ্ধি**: রমজান মাসে মুসলিমরা সাবর অধিক পরিমাণে বাজানো উচিত মনে করে এবং ইহসানের (পরিপূর্ণতা) ধারণার জন্য সর্বত্র চেষ্টা করে।
এই অংশগুলি মাত্র কিছু রমজান মাসের ফজিলত। এছাড়াও, রমজানের মাসে কোরআন নাযিল হয়েছিল এবং এই মাসের ইবাদতের গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়।
রোজার আরবি নিয়ত:
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
সেহরির দোয়া আরবিতেঃ
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
সেহরির দোয়া বাংলা উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার নিয়্যত করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে আমার রোযা কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
রমজানের ইফতারের দোয়া (আরবিতে) :
اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ
ইফতারের দোয়া বাংলা উচ্চারণে : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার জন্য আমি রোজা রেখেছি, আপনার রিজিক দ্বারা ইফতার করছি। (আবু দাউদ, সাওম অধ্যায়)
ইফতার করাকালীন বা পরবর্তী দোয়া (আরবিতে) :
ذَهَبَ الظَّمَاءُ وَابْتَلَتِ الْعُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الْأَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ
বাংলা উচ্চারণে: জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।
: ধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সওয়াবও স্থির হলো ‘ (আবু দাউদ, মিশকাত)।
রোজা ভঙ্গের কারণ বিভিন্ন হতে পারে, যেমন:
1. **কামদের কারণে**: কামদের কারণে একজন রোজাদার নিজের রোজা ভঙ্গ করতে পারে।
2. **খাওয়া-পানি করা**: রোজাদারকে ইফতার সময়ে পানি বা খাবার খাওয়া এবং সেহরির সময়ে প্রাতঃ খাবার সেবন করা হলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যেতে পারে।
3. **বিশেষ অমলের কারণে**: সমাজের একাধিক বিশেষ অমলের কারণে রোজা ভঙ্গ হতে পারে, যেমন, গুপ্ত অমল, যাচাই না করা খবর বা আবেগ সামনে আনা।
4. **অসুস্থতা**: রোজাদার যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন তবে তারা রোজা ভঙ্গ করতে পারেন।
5. **ভুল ধারণা**: কিছু লোক ভুলভাবে মনে করে যে তারা রোজা ভঙ্গ না করে কিছু কাজ করতে পারে। এ ধরনের ভুল ধারণা সম্পর্কে সঠিক তথ্য না থাকলে রোজা ভঙ্গ হতে পারে।
রোজা ভঙ্গের পরিহার পেতে রোজাদারকে কাফারা বা কাজি অবস্থা সম্পর্কে সাহায্যের জন্য উচিত গণনা করা উচিত।